হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া

মত ও পথ ডেস্ক

হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া
ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি

হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া ইরানে নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা শাসন করা গোষ্ঠীটির পাশাপাশি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস পৃথক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে।

ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি ইসরায়েলের ওপর এ হত্যাকাণ্ডের দায় চাপিয়ে এ ঘটনাকে মারাত্মক উত্তেজনাবৃদ্ধি বলে আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, হামাস একটি ধারণা, একটি প্রতিষ্ঠান। এটি কোনো ব্যক্তি নয়। ত্যাগ স্বীকার না করে হামাস তার পথেই চলবে এবং আমরা বিজয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

ইসরায়েলের ঐতিহ্যমন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহু বলেছেন, নোংরা পৃথিবীকে পরিষ্কার করার এটাই সঠিক উপায়। আর কোন কাল্পনিক শান্তি কিংবা সমর্পণ চুক্তি নয়। আর কোনো করুণা নেই। হানিয়ার মৃত্যু পৃথিবীকে আরও একটু সুন্দর করে তুলেছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনাকে তিনি কাপুরুষোচিত কাজ এবং একটি বিপজ্জনক পরিবর্তন বলে আখ্যা দিয়েছেন। বার্তাসংস্থা ওয়াফা এমনটি জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং ইসরায়েলি দখলদারত্বের মুখে ধৈর্য ধরার পাশাপাশি অবিচল থাকার আহ্বান জানান।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বগদানভ বলেন, এটি নিশ্চিতভাবেই অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। এটি আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে।

ইয়েমেনের হুতি সুপ্রিম রেভল্যুশনারি কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলি আল-হুতি বলছেন, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা একটি জঘন্য সন্ত্রাসী অপরাধ এবং এটি আইন ও আদর্শ মূল্যবোধের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হামাস নেতার রক্ত বৃথা যাবে না।

ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু এবং বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে ইসরায়েলের হত্যার দাবির বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি মনে করি না যুদ্ধ অনিবার্য। কূটনীতির জন্য সবসময় জায়গা এবং সুযোগ রয়েছে।

যে হামলায় হানিয়া নিহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে অস্টিন বলেন, দেওয়ার মতো আর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হানিয়ার হত্যাকাণ্ড আবারও প্রমাণ করে যে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের শান্তি অর্জনের কোনো ইচ্ছা নেই। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এমনটি জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলে আরও বড় সংঘাত দেখা দেবে।

হামাস বলছে, মঙ্গলবার ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়। রাজধানী তেহরানে তার বাসস্থানে জায়নবাদী গুপ্ত হামলায় তিনি নিহত হন।

শেয়ার করুন