‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন এক বিপদের কারবার’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগে এক মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন এক বিপদের কারবার। ঘরের ভেতরের বিষয়গুলো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কিছু বললে আবার রাইট টু ফ্রিডম নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আদালত অবমাননা নিয়ে ওই মামলায় আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আদালত ২২ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করে ওইদিন আইনজীবীদের হাজির থাকতে বলেছেন। সাত আইনজীবীর মধ্যে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী প্রয়াত হওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা আমরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’- আপিল বিভাগের এক বিচারপতির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ আগস্ট আদালত অবমাননার আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
পরে ১৫ নভেম্বর এক আদেশে আপিল বিভাগ সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ১৫ জানুয়ারি বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে তলব করেন।
সে অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারি সাত আইনজীবী আপিল বিভাগে হাজির হন। পরে শুনানি মুলতবি করা হয়।
আইনজীবীরা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।