গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি সেনারা আগ্রাসন চালায়নি। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল এমন একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেখানে সংঘাত থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৯ হাজার ৪৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৬ হাজার ৩১৪ জন।
এর আগে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় কাতারভিত্তিক আল জাজিরার দুই সাংবাদিক নিহত হন। আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইসমাইল আল গৌল এবং তার সঙ্গে থাকা ফটোসাংবাদিক রামি আল-রিফি নিহত হয়েছেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে শাতি শরণার্থী শিবিরে ওই সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান। বুধবার গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। আল জাজিরার ওই দুই সাংবাদিক গাজায় অবস্থিত ইসমাইল হানিয়ার বাড়ির কাছাকাছি থেকে মূলত খবর সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন।
এদিকে দুই সহকর্মীকে হারিয়ে আল জাজিরার সাংবাদিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আনাস আল শরীফ নামের তাদের এক সহকর্মী বলেন, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের কষ্ট, আহতদের আর্তনাদ এবং গাজার নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের গণহত্যার কথা প্রচার করছিলেন ইসমাইল।