জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রলীগ নেতৃত্বাধীন জোট ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটভুক্ত পাঁচটি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সভা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় এক যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীদের দল, সন্ত্রাসবাদী জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করায় স্বাগত জানিয়েছেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াত ও ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মীয় উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী, স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, হত্যা-খুন-ধ্বংসের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অধীন রাজাকার বাহিনী, আলবদর বাহিনীর সদস্য হিসেবে জামায়াত ও শিবিরের (তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘ) সদস্যরা গণহত্যা, গণধর্ষণ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনে পৈশাচিক ভূমিকা পালন করেছিল। আশির দশক থেকে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি করে আসছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ স্বাগত জানাচ্ছে। একই সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সব সাংগঠনিক পর্যায়ে যুক্ত ব্যক্তিদেরও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকা প্রকাশ এবং জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টারসহ মৌলবাদী-সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জোর দাবি জানাচ্ছে।