সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করা হলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। আইনের প্রয়োগ করা হবে।
রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের টানেলে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংঘাত এড়ানোর জন্য আলোচনার দরজা খোলা রেখেছি। আমরা সংঘাতে যেতে চাচ্ছি না। কিন্তু একই সঙ্গে বলতে চাই, সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করলে আইনের প্রয়োগও ঘটাতে হবে। অশান্তি সৃষ্টি করা হলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা সন্ত্রাসকে দমন করব।’
আন্দোলন আর আন্দোলনের জায়গায় নেই উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সন্ত্রাস-সহিংসতায় চলে গেছে। আমাদের অবস্থান শান্তির পক্ষে ছিল। আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। সহিংসতার ফলে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল, তার বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকে শিশু ছিল। এই মৃত্যুগুলোর জন্য বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কাঁদছে। এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার করতে হবে। তদন্ত করে জানতে হবে কারা এই হত্যাগুলো করেছে। এই শিশুরা সরকার পতনের আন্দোলন করছিল না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মৃত্যুগুলো, এই লাশের ওপর দাঁড়িয়ে কারা এর সুবিধা নিয়েছে, মানুষকে উসকে দিয়েছে? কারা মানুষকে উসকে দিয়ে বিপথে পরিচালিত করেছে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে?
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সবাই বিচার চাই। কিন্তু রায় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে বিচার চাওয়া হচ্ছে না। সরকার বিচার চায়, সে জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কমিশন কাজ শুরু করেছে। তারা বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আনছে। তারাও এ তদন্তে ঢুকবে। তারাও বলবে তদন্তে কী পাচ্ছে, না পাচ্ছে। একবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে। তদন্তের পর জানা যাবে কে, কীভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।’