কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বলেছেন, দেশের সবাই যদি মনে করেন ড. ইউনূস দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন বা উনার ক্ষমতার লালসা আছে, আমি সেটি বিশ্বাস করি না। আমি জানি উনার ক্ষমতার কোনো লালসা নেই। এরপরও উনাকে এক অথবা দুই বছর সময় দিতে হবে দেশটাকে গুছিয়ে তুলতে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টায় টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবন সোনার বাংলায় প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই সরকার যদি দুর্নীতির গলা টিপে না ধরতে পারে, তাহলে এই সরকারও মানুষের আস্থা হারাবে। ড. ইউনূসকে এরআগেই যদি দেশের কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে দেশ অনেক বেশি উপকৃত হতো। উনার নেতৃত্বেই দেশে এবার নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। আমি আশা করি এবার দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।
আওয়ামী লীগের সংকটময় এই মুহূর্তে যদি আপনাকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় কী করবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করিনি, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবি না। বঙ্গবন্ধু, দেশ আর মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ভাবি।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সময় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা ঠিক হয়নি। আট বছর আগেইতো তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি ৬৫-৬৬ সাল থেকে আন্দোলনে জড়িত, এরকম বিপর্যয়, ধ্বংস আর জীবনহানী এত অল্প সময়ে দেখিনি। এই দেশটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও ১৪ দলের না, দেশটা ১৮ কোটি মানুষের।
পুলিশকে থানায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আইনের নির্দেশ মেনে চলবেন, কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নির্দেশ নয়। সারা দেশ আপনাদের পাশে থাকবে।
প্রেসব্রিফিংয়ের শুরুতেই আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।