রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গুলির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশো বহিরাগত জোর করে ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় প্রবেশে বাধা দিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়।
এসময় ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহসহ পাঁচ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন।
রোববার (১১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সকালে তারা দিলকুশা এলাকায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন। তারা জামানতবিহীন, অনিয়ম করে লোন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় আকস্মিকভাবে এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তাসহ শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের প্রবেশে বাধা দিলে বহিরাগতরা অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এসময় পাঁচ কর্মকর্তা আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন কায়সার আলী। তিনি ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা। ওইদিন ব্যাংকটিতে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। কোটা সংস্কার আন্দোলন, সহিংসতা এবং এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জেরে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে ব্যাংকিং সেক্টরেও। সরকারের পতনের পরের দিনই ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেদিন ঘোষণা করা হয় ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে সময় প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত মুজিব কর্নারও ভাঙচুর করা হয়।