গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ১৬ হাজার ৪৫৬ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। যুদ্ধের ৩১১তম দিনে এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে সরকারি মিডিয়া অফিস। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় গত প্রায় ১০ মাসে ৩ হাজার ৪৮৬টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই সময়ের মধ্যে ৩৯ হাজার ৮৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৪৫৬ জন শিশু এবং ১১ হাজার ৮৮ জন নারী। সেখানে সংঘাতে আহত হয়েছে আরও ৯২ হাজার ১৫২ জন।
এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। প্যালেস্টাইন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠীর ১ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই ৩০ বছরের কম বয়সী মানুষ।
এর আগে গত শনিবার (১০ আগস্ট) গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়। স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাতিসংঘ।
ইসরায়েলের এই হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট পার্থী কমলা হ্যারিসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডন।
তিনি বলেছেন, শনিবার গাজার স্কুলগুলোতে ইসরায়েলের হামলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটি বলেছে, গত সাত দিনে গাজার সাতটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের উচিত, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া। কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নেতানিয়াহু বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
গাজায় স্কুলে এমন নির্মম হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েন্সল্যান্ড। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকরা প্রতিদিন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যেই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি হলে গাজাবাসী কিছুটা স্বস্তি পাবে।