পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বড় বন্যার শঙ্কায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শ্রেণিপেশার বিত্তবান মানুষকেও এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এই আহ্বান জানান।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে পানি বইছে বিপদসীমার ওপরে। বিশেষ করে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। এরই মধ্য পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে অনেকে।
নাছিম বলেন, দলের নেতাকর্মী, হঠাৎ এই বন্যায় দক্ষিণ-পূর্বাংশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যদিও গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এমন বড় বন্যার শঙ্কায় অগ্রিম প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন। দলের নেতাকর্মী, সমর্থক সকলের বন্যার্তদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসা উচিত। যদিও এই মুহূর্তে দলের নেতাকর্মীরা যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে সকলের পক্ষে এগিয়ে আসা সম্ভব না হলেও যতটুকু পারা যায় মানুষের এই বিপদের দিনে এগিয়ে আসা উচিত। বিগত সময়ে বন্যা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছিল বলেই বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে পেরেছিলাম, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিও মোকাবিলা করেছি।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতার পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও বন্যা মোকাবিলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি ফেসবুকে লিখেন, বন্যায় আক্রান্ত দেশমাতৃকাকে রক্ষা করুন, দল মত নির্বিশেষে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, হবিগঞ্জসহ বেশ কয়েকটা জেলা বন্যায় আক্রান্ত। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ইন্টারনেট সংযোগও। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সকল ভেদাভেদ ভুলে, দলমত নির্বিশেষে আপনার আমার আমাদের সকলের সহযোগিতার হাতটাও আর্ত মানবতার সেবায় প্রসারিত হোক।