প্রবল বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরসহ অন্তত ১১টি জেলা। এসব জেলার ৭৭টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, এ পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন।
ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেক সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে তহবিল গঠন করছেন।
তাৎক্ষণিক এ তহবিল গঠনে বেশি ব্যবহার হচ্ছে বিকাশ, নগদ, উপায়ের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলো। তবে দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের পরিমাণে সীমাবদ্ধতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন তারা।
দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি ও গ্রাহকদের সুবিধার্থে দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে বিকাশ লিমিটেড। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তিত লেনদেন সীমা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে, বিকাশের কিছু সেবার দৈনিক ও মাসিক লিমিটে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহক এজেন্ট থেকে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করতে পারবেন। আর এক মাসে এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন করতে পারবেন সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা।
একজন গ্রাহক প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা সেন্ড মানি করতে পারবেন। আর এক মাসে সেন্ড মানি করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা।
এছাড়া একজন গ্রাহক এজেন্টের কাছে একদিনে ক্যাশ আউট করতে পারবেন ৫০ হাজার টাকা। আর এক মাসে এজেন্টের কাছে ক্যাশ আউট করা যাবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ পরিবর্তিত লিমিটটি চলবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত।
এর আগে এজেন্টের কাছ থেকে একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা এবং মাসে ২ লাখ টাকা ক্যাশ ইন করতে পারতেন। একদিনে গ্রাহক সর্বোচ্চ সেন্ড মানি করতে পারতেন ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ২ লাখ টাকা।
এছাড়া আগে এজেন্টের কাছে একজন গ্রাহক দিনে ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করতে পারতেন। আর মাসে এর সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল দেড় লাখ টাকা।