ভারতে টানা বর্ষণ, বাদ পড়ছে না পশ্চিমবঙ্গও। দেশটির নদ-নদীতে বাড়ছে পানির প্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে পানি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তেমন বাংলাদেশে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে, আশঙ্কা করা হচ্ছে। গঙ্গার পানিস্তর বৃদ্ধি পেতেই গত শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফারাক্কা ব্যারেজ সূত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ড বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হতেই ফরাক্কা ব্যারেজে পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭৭ দশমিক ৩৪ ডেঞ্জার লেভেল অতিক্রম করেছে। যার জেরে সবগুলো গেট খুলে দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে শনিবার ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আরডি. দেশপাণ্ডে জানিয়েছেন, ফারাক্কার ১০৯টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা না খুলে দিলে ফারাক্কা ব্যারেজের ক্ষতি হতো এবং পানির প্রবল চাপে বিপদ ঘটতে পারত। পানির যা বেগ, তাতে ফারাক্কা ব্যারাজের ওপরে প্রচণ্ড চাপ পড়তো।
সোমবার (২৬ আগস্ট) তিনি জানিয়েছেন, ফারাক্কা বাঁধের প্রতিটি গেট খোলা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১১ লাখ ৩২ হাজার কিউসেট পানি প্রবাহিত হয়েছে। আপ স্ট্রিম থেকে যে পানি প্রবাহিত হয় সেখান থেকে ৪০ হাজার কিউসেক পানি বাদ রেখে বাকিটা ছাড়তেই হতো, তাই ছাড়া হয়েছে। এই পানি আটকে রাখার মতো কোনো টেকনোলজি বা পরিস্থিতি নেই।
তবে বাংলায় বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি।