নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর সমগ্র এলাকায় জলোচ্ছ্বাস আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়াবহ বন্যায় নিমজ্জিত জনগণের জন্য এটি ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে উপকূলজুড়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এরআগে সকাল ১০টার দিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ওই রেগুলেটর নদীতে ধসে যায়।
সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সহযোগী মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী রেগুলেটরের আশপাশে ব্যাপক বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় রেগুলেটরটি ঝুঁকিতে পড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, রেগুলেটরের আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। মাইকিং ও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জের ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নিলেও এ সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে না চাইলেও মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার পর সবাই আতঙ্কিত। আমরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, রেগুলেটর ধসে গেলেও বন্যার পানি নিষ্কাশনে কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না। তবে দৈনিক ৪-৫ ফুট উচ্চতার যে জোয়ার আসে তা আগে লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারতো না, এখন তা লোকালয়ে প্রবেশ করবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে আট উপজেলা আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৮৭ ইউনিয়ন ও সাত পৌরসভার ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। জেলায় এক হাজার ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে এক লাখ ৮২ হাজার ৩০৯ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।