ওয়াশিংটনের রাশিয়াবিরোধী প্রচার-প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯২ জন সাংবাদিক, আইনজীবী এবং ব্যবসায়ীকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। শীতল যুদ্ধের অবসানের পর এই প্রথম বিশ্বের দুই শক্তিধর পরাশক্তির পারস্পরিক সম্পর্কে এই পরিমাণ তিক্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পরারাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব ‘আগুন নিয়ে খেলছে’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া সেই ৯২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৪ জন সাংবাদিক রয়েছেন এই তালিকায়। তাদের মধ্যে ১৪ জন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে, ৫ জন নিউইয়র্ক টাইমসে এবং ৪ জন ওয়াশিংটন পোস্টে কর্মরত আছেন।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “তথাকথিত স্বাধীনতা, মুক্তবিশ্বের নামে যারা রাশিয়া এবং রাশিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে গুজব-প্রপাগান্ডা ছড়ায়, তাদের রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশের প্রয়োজন নেই।”
রাশিয়ায় ১৬ মাস কারাবাস শেষে চলতি মাসে ছাড়া পেয়েছেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইভান গেরশোভিচ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই তালিকাকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে গতকাল এক বিবৃতিতে গেরশোভিচ বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন মুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদিকাতা বিরেধী। বছরের পর বছর ধরে তারা সত্য প্রকাশকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এই পদক্ষেপটিও সেই হামলারই অংশ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ তালিকা হাস্যকর এবং আমরা এতে অবাক হইনি।”
নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে এ ইস্যুতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সূত্র : রয়টার্স