পাহাড়ি ঢল আর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দেশের অন্তত ১১ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ডুবে গেছে বহু এলাকার ফসলি জমি। তবে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এর মাঝে আজ ছুটির দিন শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বন্যার প্রভাব রাজধানী ঢাকার বাজারে খুব একটা পড়েনি। কাঁচা শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির পাশাপাশি বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে সামান্য কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম।
গেলো সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, এখন ১৬০-১৭০ টাকাও পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
যদিও ডিমের বাজারে দেখা গেছে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। ৫ টাকা বেড়ে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
রামপুরার ভাই ভাই স্টোরের জামাল হোসেন বলেন, ডিমের দাম একটু বেড়েছে। কারণ বন্যা। তবে অন্যান্য সময় এ ধরনের বন্যায় প্রতি ১০ ডজনের ১০-২০ টাকা বাড়ে। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। আসলে এখন বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা আছে।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের মতো ১১০ থেকে ১২০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজির বাজারে অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। বন্যার মধ্যেও সে অবস্থা বজায় রয়েছে। এখন বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের নাগালে।
এখন ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পটোল, পেঁপে, ঢ়্যাঁড়স। এক মাস আগেও ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মেলেনি। এ তিন সবজির মতো বেশিরভাগ সবজির দর বেশ কমেছে। আগে বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, কচুরমুখীর মতো সবজি ১০০ টাকার ওপরে ছিল, এখন ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কিছুটা কমতে দেখা গেছে আলুর দামও। প্রতিকেজি ৬০ টাকা কেজি দরের আলু এখন ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার ওপরে ছিল, এখন ১৬০ টাকা দরে নেমেছে।
কিছুটা কমতির দিকে মাছের বাজার। ইলিশের সরবরাহ বাড়ার কারণে অন্য মাছের চাহিদা কমেছে। তাতে দামও খানিকটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেনা যাচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায়। তবে ইলিশের মৌসুমে দাম আরও কম থাকা উচিত বলে মনে করেন ক্রেতারা।