নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। তবে বন্যা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো হতে পারে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বন্যায় ১১ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে দাম বাড়ছে এসব পণ্যের। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
ট্যারিফ কমিশন জানায়, দেশে প্রতিবছর পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও বিশেষ অনুমতি ছাড়া ডিম ও আলু আমদানি করা হয় না। ফলে পেঁয়াজ থেকে রাজস্ব আহরণ হলেও বাকি দুই পণ্য থেকে তেমন রাজস্ব আদায় হয় না। তবে বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে আলু ও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে কমিশন আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ও ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) পুরোপুরি প্রত্যাহার চেয়েছে। এছাড়া ডিম ও আলুতে সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ ও ৩ শতাংশ আরডি প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে পেঁয়াজের ওপর ১০ শতাংশ এবং ডিম ও আলু আমদানিতে ৩৩ শতাংশ করে শুল্ক-কর রয়েছে।
জানা গেছে, বন্যা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো হতে পারে। এ বিষয়ে আলোচনা করে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে এনবিআর। অন্যদিকে ডিম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত প্রান্তিক খামারিরা। বন্যায় খামারিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করে ডিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমানোর পাশাপাশি সরবরাহ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, এর আগেও এসব পণ্যের শুল্ক-কর কমানো হয়েছে। তবে এর প্রভাব বাজারে পড়েনি। এসব পণ্যের শুল্ক-কর কমানো নিয়ে চলতি সপ্তাহে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
পেঁয়াজ ও আলু ছাড়াও ডিম এবং চিনি আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর বিষয়ে বিশ্লেষণ চলছে বলে জানা গেছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া ভোজ্যতেলের শুল্ক-কর যৌক্তিক করা নিয়েও কাজ করছে এনবিআর।