মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় কিছু অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এবং প্রতিবাদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দলমত–নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তরে জানাতে হবে। কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করতেও সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। গণ-অভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর।