মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধানের মূল ভিত্তির ওপর আঘাতকারীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী শাসকেরা নানা ফ্যাসিস্ট কার্যক্রম চালিয়েছে। এখন সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধ তথা গণযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা জনগণের কাছে তুলে ধরার। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের অবসানের কথা বলা হয়েছে। সেটি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধানের চার মূলনীতির মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। সংবিধানের চার মূলনীতি হলো—গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ।
সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের মূল সংবিধানের কোনো কোনো ক্ষেত্রে নেতিবাচক পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে কতগুলো অসম্পূর্ণতাও রয়েছে। এই অসম্পূর্ণতা সম্পূর্ণ করা ও নেতিবাচক পরিবর্তনগুলো দূর করার কাজেও হাত দিতে হবে। তা করতে হবে সংবিধানের মূল ভিত্তি ঠিক রেখেই।
রাজনৈতিক দলটির দাবি, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন দূর করে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনীতে যেসব নতুন স্বৈরাচারী উপাদান সংযোজিত হয়েছে, তা বাতিল, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেই আদি সংবিধানের নেতিবাচক পরিবর্তন ও অসম্পূর্ণতা দূর করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা লক্ষ করছি, অনেকে সংবিধানের বিরোধিতা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বিরোধিতা করছেন। এই অপশক্তিকে দেশবাসী গ্রহণ করবে না। দেশবাসীকে, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ ছাত্র-জনতাকে এসব অপশক্তি সম্পর্কে সজাগ থাকেতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।