পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। এই সফরের আগে তাদের বিপক্ষে টেস্টে কোনো জয়ই ছিল না, এখন আছে সিরিজ জয়ের স্মৃতি।
এমন আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেওয়া ক্রিকেটাররা বুধবার রাতে দেশে ফিরেছেন। এরপর বিমানবন্দরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে কথা বলতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।
জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার কিছুদিন আগে বিলুপ্ত করা সংসদের সদস্য ছিলেন। তার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে তার নামে হয় হত্যা মামলা। সাকিব যখন পাকিস্তানে খেলছেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে, তখনই এমন ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটাররা পাশে দাঁড়ান সাকিবের। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের। ওখানে আলাপ হলে সাকিবের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত।
তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের বিষয়টা অবশ্যই আলাদা বিষয়। কিন্তু প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। এই বিষয়টা আমরা সবাই জানি সাকিব ভাই খেলার জন্য কতটা নিবেদিত এবং খেলার জন্য কতটা পাগল, সবসময় দলের জন্য খেলার চিন্তাভাবনা করে থাকেন। কিন্তু হ্যাঁ, অবশ্যই যখন দেখা হবে (ইউনূসের সঙ্গে)। যদি এটা নিয়ে কথা ওঠে, প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন ক্রিকেটাররা। ড্রেসিংরুমে জয়ের পরও দেখা গেছে সেটি। পরে ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেন অধিনায়ক শান্তও। ওই ঘটনার পেছনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এইরকম অর্জনের পর স্বাভাবিক ভাবেই উদ্যাপনটা একটু অন্যরকম থাকে। জেতার পর ড্রেসিংরুমে সবাই সেলিব্রেট করেছে। হোটেলে যাওয়ার পরও সেলিব্রেশন থামেনি। পুরো যাত্রাই আসলে আনন্দের ছিল। পাকিস্তানে পুরো সময়টা আমরা অনেক উপভোগ করেছি। ‘
‘সিরিজ জয়টা অনেক স্পেশাল ছিল আমার কাছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়, বাংলাদেশের সব থেকে বড় অর্জন। মুহূর্তটাকে ভালো ভাবে উপভোগ করার জন্য মনে হলো যে ট্রফিটা নিয়েই ঘুমাই। এটাই আর কি, কাউকে দেখে না… লিওনেল মেসিকে দিয়ে শুরু হয়েছিলো…। ’