সারাদেশে একযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কর্মসূচী দিয়েছে উদীচী। আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচী পালন করবে সংগঠনটি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতসহ এদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রাণের সব বিষয় নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে।
গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যূত্থানের মূল সুরকে বিকৃত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বিরোধীতা করা থেকে শুরু করে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকার উপর আঘাত হানতে শুরু করেছে।’
জানা যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সংগীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কথা বলেন। আমান আযমী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে, তা করেছিল ভারত। দুই বাংলাকে একত্র করার জন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত।
আমান আযমী বলেন, জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত, নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।
তার এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই প্রেক্ষিতে এলো উদীচীর কর্মসূচী।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে উদীচী বলেছে, ‘এই হীন চক্রান্তের প্রতিবাদ এবং এর সাথে জড়িতদের রুখে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় দেশের সর্বত্র একযোগে “উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কর্মসূচি” হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। ওইদিন উদীচীর সব জেলা ও শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ একসাথে প্রাণের আবেগে গেয়ে উঠবে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় সঙ্গীত। কেন্দ্রীয়ভাবে এই দিন সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করা হবে “উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কর্মসূচি”।’