মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (ডি আর কঙ্গো) মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সের টিকার প্রথম চালান হাতে পেয়েছে। গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জেরে বিশ্ব জুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ হাজার মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১০০ জনের বেশি। আক্রান্ত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বড় অংশই শিশু।
ডি আর কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এমপক্সের টিকার প্রথম চালান নিয়ে একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে। দেশটিকে অনুদান হিসেবে এসব টিকা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল রজার কাম্বা মুলাম্বা বলেন, যেসব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে, সেখানে সবার আগে টিকা দেওয়া হবে। এ টিকা ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত। তবে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের দেওয়া যায়।
এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এমপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো। রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এ মুহূর্তে এমপক্স ভাইরাসের কয়েকটি ধরনে সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ধরন বেশি বিপজ্জনক। ‘ক্লেড ১বি’ নামের ধরনটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়েছে।