ম্যাচ যতই শেষ বাঁশির দিকে গড়াচ্ছিল বাংলাদেশ ফুটবলারদের শরীরি ভাষা ততই ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হচ্ছিলো। কোনোমতে ড্র করতে পারলেই যেন বাঁচেন ক্যাবরেরার শিষ্যরা। ভুটানের একের পর এক আক্রমণ রুখতে রক্ষণে বেশি খেলোয়াড় জমাট করেন কোচ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৮ বছর পর সেই থিম্পুতেই আবার বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়েছে ভুটান। ১-০ গোলে জিতে দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ এ সমতা করলো ভুটানিজরা।
বাংলাদেশের জালে ভুটান বল জড়ায় ইনজুরি সময়ে। প্রায় মাঝ রেখা থেকে নেওয়া ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন ভুটানের ওয়াংচুক। গোলের পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন ভুটানের খেলোয়াড়রা। নেচে ওঠে চিংলিমিথান স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিহাসের দ্বিতীয় জয়। ভুটান কেবল বাংলাদেশের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শেখেনি, হারাতেও যে পারে ৮ বছরের দুইবার তার প্রমাণ দিলো পাহাড়ী দেশটি।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। দুটি পরিবর্তন ছিল এই ম্যাচে। তবে রাকিব ও বিশ্বনাথের অভাব ফুটে উঠেছে ওপরে-নিচে। ক্যাবরেরার দলের খেলা দেখে পাড়া মহল্লার ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করেছেন ম্যাচ দেখা ফুটবলপ্রেমীরা। না ছিল গতি, না ছিল ছন্দ। নিম্নমানের ফুটবল খেলে থিম্পু থেকে মাথা নিচু করেই ঘরে ফিরছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
এর আগে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল ১৫ বার। একটি মাত্র হারের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। ভুটান সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২ করলো। ভুটানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে র্যাংকিং বাড়ানোর স্বপ্ন চুরমার হলো স্প্যানিশ কোচের।
প্রথম ম্যাচে ফাঁকতালে পাওয়া গোলে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানের রক্ষণভাঙ্গার মতো কোনো আক্রমণই করতে পারেনি ফাহিম, মোরসালিন ও শাহরিয়ার ইমনরা। যার ফল ৮ বছর পর আবার হার। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩-১ গোলে হারা ভুটান এবার জিতে গেলো ১-০ ব্যবধানে।