ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিদের জন্য দিল্লির পাশাপাশি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক কিংবা ভিয়েতনামের হ্যানয়ে গিয়েও ভিসা আবেদন জমার সুযোগ করে দিয়েছে রোমানিয়া।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, “রোমানিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য মনোনীত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন ভারতের নয়া দিল্লিতে রোমানিয়া দূতাবাসের পাশাপাশি ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাসে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।”
এর আগে সোমবার ব্যাংককে রোমানিয়া দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে সব বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য এ সুযোগ তৈরি করার কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত ভিসা ইস্যু না করায় বাংলাদেশিদের জন্য নয়া দিল্লিতে গিয়ে রোমানিয়ান ভিসা আবেদন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রোমায়িনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশিদের নাগরিকরা হ্যানয় এবং ব্যাংকক দূতাবাসে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ভিসা দেওয়া শুরুর আগ পর্যন্ত এ সুযোগ থাকবে বলেও জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। যাদের ভারতের ভিসা আছে, তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না।
ঢাকায় রোমানিয়ার দূতাবাস না থাকায় দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদেরকে অনলাইনে ভিসা আবদেনের কাগজপত্র জমা দিতে এবং সাক্ষাৎকারের জন্য দিল্লিতে যেতে হয়। এক্ষেত্রে ‘ডাবল এন্ট্রি ভিসা’ ইস্যু করে দিল্লি যাওয়ার সুযোগ করে দেয় ভারত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে জুলাই-অগাস্টের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ‘নিরাপত্তার’ কথা বলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে ভারত। এখন কেবল মেডিকেলসহ জরুরি কিছু ভিসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে রোমানিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ধরনা দিয়েছেন তাদের অনেকে।
ব্যাংককে রোমনিয়া দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যেক ভিসা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকারের জন্য হ্যানয় বা ব্যাংককে আসা বাধ্যতামূলক, এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা ভিসার ইস্যু করতে দূতাবাসে আবেদন জমা পড়ার পর সর্বোচ্চ এক মাস এবং ক্ষেত্রবিশেষে দেড় মাস লাগতে পারে। রোমানিয়া কোনো ‘ইলেকট্রনিক ভিসা’ দেয় না; পাসপোর্টে ছাপ মেরে দেওয়া হয়।
পাসপোর্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রেও তিনটি নির্দেশনা দিয়ে ব্যাংককে রোমানিয়া দূতাবাস বলেছে, “আপনার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডে অপেক্ষা করতে পারেন। যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে, তখন আপনাকে ভিসা কিংবা বাতিলের ফর্ম গ্রহণের জন্য দূতাবাসের আসতে ইমেইল পাঠানো হবে।
“আপনি বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারেন এবং সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইমেইল পাওয়ার পর আবার ভিয়েতনাম কিংবা থাইল্যান্ডে আসতে পারেন। কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিও বানাতে পারেন, যিনি আপনার পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরবেন কিংবা ভিসা অথবা আবেদন বাতিলের ফর্ম গ্রহণ করবেন।”