অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, দেশের মোট ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এরমধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন ড. শাহদীন মালিক।
আরও পাঁচটি কমিশন গঠন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচজনকে।
এ নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নেতৃত্বে কমিশনগুলো পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছি। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সরফরাজ চৌধুরী। বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাইম মমিনুর রহমান। দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. শাহদীন মালিক।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় ভাষণ। গত ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন তিনি।
এর আগে ড. ইউনূস বলেন, আমরা সংস্কার চাই। আমার একান্ত অনুরোধ, দেশ সংস্কারের যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়িত্ব দিয়ে দর্শকের গ্যালারিতে চলে যাবেন না। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা একসঙ্গে সংস্কার করবো।
সংস্কার নিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজ নিজ জগতে সংস্কার আনুন। একটি জাতির সংস্কার শুধু সরকারের সংস্কারের ওপর নির্ভর করে না।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।