চলমান শ্রমিক আন্দোলন, সহিংসতা বন্ধ ও শ্রমিকদের আলোচনার মাধ্যমে কাজে ফেরাতে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের ৫৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রম আইনের ১৩(এক) ধারা অনুযায়ী মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর বাইরে আরও ৬০টি তৈরি পোশাক কারখানা আজ বন্ধ। ফলে এ অঞ্চলে মোট বন্ধ ১১৪টি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন।
১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজিএমইএর এ নেতার অভিযোগ, আমরা চিন্তা করেছিলাম দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা কাজে ফিরবে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড হয়ে তারা সহিংসতা ও ভাঙচুর করেছে।
শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে ১৩(এক) এর ধারায় অনেক মালিক ফ্যাক্টরি বন্ধ করেছেন। আমরা আশা করি শ্রমিকরা কাজে ফিরবে শনিবারের মধ্যে। এর আগে এ অঞ্চলে এ ধারায় কিছু ফ্যাক্টরি বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। সেখানে ফ্যাক্টরি ভালোভাবে চলছে বলেও জানান রাকিব।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের ১৩(এক) ধারায় কোনো কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করলে বন্ধকালীন শ্রমিকরা কোনো ধরনের বেতন পাবেন না। অর্থাৎ এসব কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করলে মজুরি পাবেন না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারাও একমত হয়েছেন।
‘এর আগে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস ও টিফিনের বিষয়ে তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। যেহেতু অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা হচ্ছে তাই এ অঞ্চলের জন্য আপাতত এটা করা হয়েছে।’
অন্য অঞ্চলে এটা প্রযোজ্য হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে রাকিব বলেন, ‘সেখানকার মালিকদের সক্ষমতা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এটা ভেবে দেখা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সব ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মিটিং করবো এবং আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।’