চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন শিপইয়ার্ডে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় জনে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা গেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) ও বরকতুল্লাহ (২৩)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে মারা যান জাহাঙ্গীরের ভাগিনা খায়রুল শেখ (২১), আহমেদ উল্লাহ (৩৮), আল আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৬)। বর্তমানে আনোয়ার হোসেন (২৫ শতাংশ দগ্ধ) ও আবুল কাশেম (৭০ শতাংশ দগ্ধ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বিস্ফোরণের সময় এসএন করপোরেশনের স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ চলছিল। এতে গুরুতর আহত ১২ জনকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জনকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।