কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এসময় মসজিদ ও মাজার ভাঙচুর করে দুপক্ষের লোকজন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাজারে জশনে জুলুশ মিছিলকারী এবং হেফাজত ইসলামপন্থী ইমাম ও উলামা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ঘণ্টাখানেক চলে এ সংঘর্ষ।
নিহত ব্যক্তি কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী পূর্বপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিন জাবু মিয়ার ছেলে মীর মোহাম্মদ মিলন। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে আহলে সুন্নাত আল জামাতের মতাদর্শী তরিকতপন্থীরা ছয়সূতী বাজার এলাকায় জশনে জুলুশ মিছিল বের করলে হেফাজতে ইসলামপন্থীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজার ভাঙচুর করে এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে৷
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজারে গতকাল রোববার ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। এতে বাধা দেয় কুলিয়ারচর ইমাম ও উলামা পরিষদের নেতারা। ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরীর। তাঁকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ বিষয়ে ইমাম ও উলামা পরিষদের নেতারা একটি চিঠি দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী কুলিয়ারচরে আসেননি।’
ওসি আরও বলেন, ‘এদিকে ইমাম ও উলামা পরিষদ এবং তরিকতপন্থীদের মধ্যে যাতে কোনো রকম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেয় কুলিয়ারচর প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক তরিকতপন্থীরা সোমবার জশনে জুলুসের মিছিল বের করে। মিছিলটি ছয়সূতী বাজার এলাকায় যাওয়ার ব্যাপারে মানা থাকলেও তারা মিছিল নিয়ে বাজারে ঢুকে পড়লে ইমাম ও উলামা পরিষদের লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে।’