খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ।
জানা গেছে, দুই পক্ষের সংঘর্ষে দীঘিনালায় ধনঞ্জয় ত্রিপুরা এবং খাগড়াছড়ি সদরে রুবেল ত্রিপুরা ও জুনান ত্রিপুরা আহত হন। পরে তাদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধনঞ্জয় ত্রিপুরা এবং রাত দেড়টার দিকে রুবেল ত্রিপুরা ও জুনান ত্রিপুরা মারা যান।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, দীঘিনালা ও সদর উপজেলা থেকে আসা নয়জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সংঘর্ষ থেকে স্থানীয় বাজারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও বসতবাড়ি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরিফিন জুয়েল বলেন, দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং দোকানপাট ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।