রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, জনতা, বেসিক ও বিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নিয়োগ চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ এসব এমডির নিয়োগ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের এমডির নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ বাতিলের জন্য পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এমডির নিয়োগ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ছয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দেওয়া চিঠিতে এমডিদের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলের জন্য সরকারের সুপরিশ/সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।
ব্যাংক কোম্পানি আইন ও পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী তার (এমডি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলের বিষয়ে বিধিগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ছয়টি ব্যাংককে আলাদা আলাদা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকে আফজাল করিম, অগ্রণী ব্যাংকে মুশেদুল কবির, রূপালী ব্যাংকে মো. জাহাঙ্গীর, জনতা ব্যাংকে আব্দুল জাব্বার, বেসিক ব্যাংকে আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে হাবিবুর রহমান গাজী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করতে বলা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কার্মকর্তা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের এমডির চুক্তির মেয়াদ বাতিল করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলো তাদের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। যেমন, কোনো কোনো ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী এমডির চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৬ মাস আগে জানানো বা তার সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়। পরিচালনা পর্ষদ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এমডিদের চুক্তি বাতিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।