জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে বৈঠক বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, জয়শঙ্করের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রায় নিশ্চিত, দেখা হবে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু টানাপোড়েন চলছে। এটা স্বীকার করতে হবে। সমস্যা সমাধান করতে হলে অস্বীকার করলে চলবে না। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো সেই টানাপোড়েন যেন পেছনে ফেলতে পারি এবং একটি কাজের সম্পর্ক তৈরি হয়।
‘এটা হতে হবে অবশ্যই সার্বভৌম ক্ষমতার ভিত্তিতে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। আমি মনে করি, এর ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব এবং সেটা আমরা চেষ্টা করব।’ যোগ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে কি নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদী বৈঠক হচ্ছে না-জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তো অনেক কথা পছন্দ না হতে পারে। কাজেই ওনার কথা আমার পছন্দ হলো না বা আমার কথা ওনার পছন্দ হলো না, এটা নিয়ে আমার মনে হয় খুব বেশি বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। এ কারণে তো এমন নয় বাংলাদেশ এখান থেকে বহুদূরে অবস্থিত হয়ে যাবে আর ভারত চলে যাবে অন্য কোথাও। প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী যেহেতু পরিবর্তন হয় না, কথা কারও পছন্দ হোক বা না হোক…। ভারতের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে অগ্রহণযোগ্য কথাবার্তা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটা এতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করাই উচিত। উনি দেখা করবে না বিষয়টা এমন নয়। আসলে সময় ওভারলেপ করছে না। এটা আমরা ধরে নেব। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলাপ-আলোচনা রাখতেই হবে। এটা ভারতেও লাগবে আমাদেরও লাগবে।
মোদীর সঙ্গে বৈঠক না হলেও নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। সেই বৈঠকে আলোচনা বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা ফিরে এসে কথা বলবো।