রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতায় বাইরের ষড়যন্ত্র আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে স্থানীয় সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে প্রায় তিন ঘণ্টার সভায় বর্তমান সরকারের তিন উপদেষ্টার সঙ্গে সভায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জাতিগোষ্ঠীর নেতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে সবাই বলেছেন আমরা সম্প্রীতি চাই। কিন্তু জানি না কোথায় ছন্দপতন হচ্ছে। ছন্দপতনের বিষয়ে সবাই একটি বাক্য উচ্চারণ করেছে; সেটি হলো ষড়যন্ত্র। বাইরে থেকে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য।’
হাসান আরিফ বলেন, ‘এর পেছনে কারা জড়িত সেটা বের করতে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘রাঙ্গামাটির দেয়ালে দেয়ালে যে গ্রাফিতি আমরা দেখেছি তাতে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মানুষ এই সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। আশা করি রাঙ্গামাটি সম্প্রীতির শহর হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে থাকবে।’
এসময় সাংবাদিকদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আপনারা যত সজাগ থাকবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন; পরিস্থিতির তত উন্নতি হবে।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটিতেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় একজনের। পরে ওইদিন বেলা ১টা থেকে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।