চেন্নাই টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়েছে ভারতের। টেস্টে রানের হিসেবে ভারতের কাছে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার।
আজ রোববার ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের প্রথম সেশনও টিকলো না বাংলাদেশ। ৭৬ রান তুলতেই বাকি ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
গতকাল শনিবার ১৪৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। জয় বা ড্র, কোনোটি না পারলেও অন্তত ব্যবধানটা কমাতে পারবেন, এমনটিই প্রত্যাশা ছিল ভক্তদের।
কিন্তু ভক্তদের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ করতে পারেননি সাকিব-শান্ত। ৪৮ রানের জুটি করে আউট হয়ে যান সাকিব। ৫৬ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরত যান টাইগার ব্যাটার।
৫২তম ওভারে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে ঠেকাতে যান সাকিব। কিন্তু তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো যসস্বি জয়সওয়ালের হাতে। এতে চতুর্থ দিনে প্রথম আর ইনিংসের পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পিচে এসে টিকতে পারেননি নতুন ব্যাটার লিটন দাসও। ৫৫তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার বলে স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১০ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন লিটন।
অশ্বিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ (১০ বলে ৮)। ডানহাতি এই ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে ফাইফার পূর্ণ করেন অশ্বিন।
সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন একটি সেঞ্চুরি আশা করছিলেন শান্তর কাছ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুজনের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি শান্ত। সতীর্থদের সহায়তা না পেয়ে ধৈর্য হারান এই ব্যাটার। মারতে যান বড় শট। তাতেই গড়বড় করে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জাসপ্রিত বুমরাহর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সটা কভার অঞ্চলে জাদেজার হাতে ক্যাচ হন শান্ত। ১২৭ বলে ৮২ রান করেন তিনি।
এরপর আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদও (৪ বলে ৫)। অশ্বিনের ষষ্ঠ শিকার হন তিনি। ১৪ বলে ৭ করে জাদেজার বলে হাসান মাহমুদ বোল্ড হলে চেন্নাইয়ে ব্যর্থ মিশন শেষ হয় বাংলাদেশের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।