সিলেট, সুনামগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের পৃথকস্থানে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সিলেটে ৬ জন, সুনামগঞ্জে একজন এবং সিরাজগঞ্জে দুজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন সুনামগঞ্জের আরও দুজন।
শনিবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
সূত্রমতে সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন— জৈন্তাপুর উপজেলায় আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ, ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া, কানাইঘাট পৌরসভার বাসিন্দা নুর উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামের নেজামুল হক, গোয়াইনঘাট উপজেলার ভিতরখেল হাওরের বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী রুকসানা বেগম, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের সুলকু মিয়ার ছেলে দীন ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের মো. আশরাফ আলী (৪০) ও রুহুল আমিন (২৮)।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, নাহিদ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বজ্রপাতের সময় নুর উদ্দিন মাছ ধরছিলেন, আর কালা মিয়া ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে হাল চাষ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন।
কোম্পানিগঞ্জে নিহত নেজামুলের স্বজনরা জানায়, নেজামুল হাস চরানোর জন্য পাশের হাওরে যাচ্ছিলেন। এসময় আকস্মিক বজ্রপাত হলে মারা যান তিনি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, বাড়ির উঠানে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুকসানা।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বাড়ির পাশের হাওরে লাকড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দীন ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
এছাড়া জেলার তাহিরপুর উপজেলায় আকস্মিক বজ্রপাতে সুজন মিয়া ও সিরাজ মিয়া নামে আপন দুই ভাই আহত হয়েছে। সুজন ও সিরাজ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিকূল গ্রামের আনফর আলীর ছেলে। উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়াকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওছার আলম জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের মো. আশরাফ আলী (৪০) ও রুহুল আমিন (২৮)।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালে মোহাম্মদ আবুল হাসানাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।