রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় ‘চোর সন্দেহে’ গণপিটুনিতে আহত এক যুবক হাসপাতালে মারা গেছেন।
শনিবার দুপুরে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানান কালুখালী থানার ওসি মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
এর আগে ভোরে উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া গ্রামে তাকে আটক করে জনতা পিটুনি দেয় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত নাজমুল হোসেন মোল্লা (৩২) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাড়াখোলা গ্রামের আহম্মেদ মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জাহেদুর রহমান বলেন, “ভোরের দিকে নাজমুলসহ তিনজন পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করে ফিরছিলেন। এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। দুইজন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন নাজমুল। উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেয়।
“সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আহত অবস্থায় নাজমুলকে কে বা কারা উপজেলা হাসপাতালে রেখে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান।”
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান উম্মন জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে হাসপাতালের সিঁড়িতে কে বা কারা আহত এক যুবককে ফেলে রেখে যায়।
“পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি নিজের নাম-ঠিকানা বলতে পেরেছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।”
ওসি জাহেদুর বলেন, মৃতদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
নাজমুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি চুরির মামলা রয়েছে বলেও ওসি জানান।