সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে সোমবার দুপরে বরিশাল আদালতে নেওয়া হবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আদালতে আনার খবরে সেখানে জড়ো হতে থাকেন যুবদলের নেতা-কর্মীরাও। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালায় যুবদল। পরে পাল্টা হামলা চালায় আওয়ামী লীগও।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ রাত ৮টার দিকে শামীমকে আদালতে আনা হতে পারে।
জানা গেছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে রোববার রাতে ঢাকার বারিধারা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। গত ৪ আগস্ট বরিশাল নগরের সদর রোডে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটনায় হওয়া মামলার অন্যতম আসামি তিনি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে এমপি হন জাহিদ ফারুক। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টার পর থেকে জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা আদালতপাড়ায় আসতে শুরু করেন। এ খবর পেয়ে যুবদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তারা জাহিদ ফারুকের গ্রেপ্তারের খবরে সেখানে মিষ্টি বিতরণও করেন।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মিলনের নেতৃত্বে আদালতপাড়ায় হট্টগোল শুরু হয়। প্রথমেই তারা শাহরিয়ার রাজীবের ওপর হামলা চালান। তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শ্রমিক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনকে বেদম মারধর করা হয়। জয়নাল জানান, তিনি অন্য কাজে আদালতে গিয়েছিলেন। এ খবর পেয়ে জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে অনু ও আশরাফুলের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ মিছিল করে আদালতপাড়ায় ঢোকে এবং যুবদলের নেতা-কর্মীরা ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় যুবদল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে দুটি ট্রাকে বহু নারী-পুরুষ এসে জয়নালের ছেলেদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা আদালতপাড়ায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ও হামলাকারীদের খুঁজতে থাকেন।
জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউল আলম পলাশ বলেন, ‘গ্রেপ্তার জাহিদ ফারুক ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমার ওপর হামলা করেছিল। ফারুকের গ্রেপ্তারের খবরে আমরা খুশি হয়েছি। তাকে আদালতে আনা হবে এ খবর পেয়ে আমরা আদালতে এসেছি।’
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, বিএনপির অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে বরিশালে আদালতে তোলা হবে। ঢাকা থেকে তাকে নিয়ে আসা হবে। তিনি রাত ৮টা দিকে পৌঁছাতে পারেন।