লেবাননের বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলায় ৫৫৮ জন নিহত হয়েছে। হামলায় আরও ১ হাজার ৮৩৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, মোট নিহতের মধ্যে শিশু ৫০ জন এবং নারী ৯৪ জন। এও হামলায় আহতদের ৫৪টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘ জরুরি ভিত্তিতে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানোর পর লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এদিকে লেবাননে ইসরাইলের প্রাণঘাতী আক্রমণের পর লেবাননভিত্তিক এনজিও কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলাকে এই বছরের সবচেয়ে মারাত্মক দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন খুবই স্পষ্ট। সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে সব সময় বেসামরিক জনগণ, বেসামরিক বস্তু, যোদ্ধাদের ও সামরিক লক্ষ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে।’
অন্যদিকে ইসরায়েল এখনো গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ অঞ্চল জুড়ে কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজায় চলমান সংঘাতের কথা উল্লেখ করে কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক পরিচালক হাজেম ফাহমি বলেন, ‘এই অঞ্চলটিতে পুনরায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে।’
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করে বলছে, গাজায় চলমান ‘‘নির্মূল ও বাস্তুচ্যুতির যুদ্ধ থেকে বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর’’ লক্ষ্যে ইসরায়েলের এই (লেবাননে) হামলা চালিয়েছে। এছাড়া স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা অব্যাহত রেখে গণঅপরাধ করেই চলছে ইসরায়েল।