সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাবেক এমপি সাদেক খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর মধ্যে শাহাবুদ্দিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় তেজগাঁও থানার মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, শাহজাহান খান ও সাদেক খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দুইজনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আব্দুল মোতালিব (১৪) নামের এক কিশোর নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আকতারুজ্জামান তার আট রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরে ট্রাকচালক সুজন (২৫) হত্যা মামলায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম।
গত ৫ আগস্ট ভিকটিম শাহাবুদ্দিন বাসার পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্যদ্রব্য কিনতে বাসা থেকে বের হন। তিনি শেরেবাংলা নগর থানার সামনে পশ্চিম আগারগাঁও চৌরাস্তায় এলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া গত ৪ আগস্ট কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলাম একই এলাকায় আন্দোলনে যান। তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার ভাই তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।