সুপ্রাচীন কাল থেকেই বিশ্ব দেখার দুর্নিবার নেশায় মত্ত মানুষেরা বিক্ষুব্ধ মহাসিন্ধু পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছে অজানা অচিন স্থানে। মূলত এই অনুসন্ধিৎসু বিশ্ব পরিব্রাজকদের ভ্রমণাকাঙ্ক্ষা থেকেই পর্যটন শিল্পের উৎপত্তি। সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনের রুপ ও প্রকৃতিতেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এটি এখন শুধু কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ভ্রমণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমগ্র মানবগোষ্ঠীর জন্য একটি বিশ্বজননীন সাধ। আর সেজন্যই পর্যটন এখন একটি শিল্প, যা বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবেও সুপরিচিত। বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন শান্তির সোপান’।
শান্তি বিনির্মাণের প্রক্রিয়ায় পর্যটন অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় সমঝোতা ও বন্ধুত্ব। যুদ্ধের অনুপস্থিতি শুধু শান্তি নয়; সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পর্যটনের ভূমিকা অপার।
বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ঘোষিত এ দিবসটি সকল সদস্য দেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর-সংস্থা, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবস উপলক্ষে হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁয় বিশেষ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে লাইভ কুকিং শো’র আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টিকিটে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে।
এছাড়াও শিশুদের মাঝে পর্যটনের সৌরভ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় শিশুদের নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রিক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।