নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে অন্তত ৯জন আহত হয়েছেন। এসময় চারটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার জোয়াড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আওয়ামী লীগ কর্মী কসের উদ্দিন (৫৬), জিল্লুর রহমান (৩৮), ওসমান আলী (১৮) ও বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান (৩৫), মাহফুজুর রহমান (২৪), জুয়েল রানা (৩২), আল আমিন আকাশ (২৬), আল আমিন (২০), রিয়াদ হাসান (১৭) ও আব্দুর রহিম (২৮)। আহতদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বৃ-কাছুটিয়া গ্রামে বিএনপি কর্মী সাইফুর রহমান ও জোয়াড়ী গ্রামের দুলাল হোসেনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে দুলাল হোসেন বলেন, সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন, আব্দুর রহিমের সঙ্গে গাঁজা বিক্রির বিষয় নিয়ে জামাত আলীর ছেলে নাইম, শহিদুলের ছেলে শিহাবের দ্বন্দ্ব হয়। পরে এ সংক্রান্ত একটি আট মিনিটের ভিডিও প্রকাশ প্রায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাইফুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাড়িঘরে ভাঙচুর করে। আমার ভাই কসের উদ্দিন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে আমার ভাতিজারা একত্র হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন বলেন, আমাদের আম বাগানে দুলাল হোসেনরা সব সময় অত্যাচার করে। আমরা প্রতিবাদ করলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মারধর করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চায়ের স্টলে রাজনৈতিক কথা বলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুলাল হোসেন ও তার লোক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে ছয়জন আহত ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।