লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ হয়েছেন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর মেয়ে জয়নাব নাসরাল্লাহ।
ইসরায়েলের চ্যানেল টুয়েলভ তার মৃত্যুর খবর দিয়েছে। যদিও হিজবুল্লাহ বা লেবাননের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ তথ্য পাওয়া যায়নি।
হিজবুল্লাহর প্রতি স্পষ্ট আনুগত্য এবং তার পরিবারের আত্মত্যাগের জন্য জয়নব বেশ পরিচিত। তার ভাই হাদি ১৯৯৭ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারান।
আল-মানার টিভিতে ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তার পরিবারের প্রতিক্রিয়া বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘যখন আমার ভাই হাদি শহীদ হয়েছিলেন, তখন আমার বাবা-মা এক ফোঁটা অশ্রুও ঝরাননি। তারা আল্লাহর পথে আমাদের পরিবারের আত্মত্যাগের গর্বকে প্রতিফলিত করে।’
হিজবুল্লাহর মতাদর্শের প্রতি পরিবারের দৃঢ় প্রত্যয় এবং অঙ্গীকার তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা বিব্রত যে আমরা শহীদদের অন্যান্য পরিবারের তুলনায় এত ছোট ত্যাগ স্বীকার করেছি।’
বৈরুতে ভয়াবহ হামলায় জয়নবের মৃত্যু হিজবুল্লাহর জন্য উল্লেখযোগ্য প্রতীকী প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভাব্যভাবে ইসরায়েলের সাথে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষে গোষ্ঠীটির প্রতিক্রিয়া বাড়তে পারে।
এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা অনুমান করেছেন যে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ শুক্রবার বৈরুতে আইডিএফের হামলায় নিহত হয়েছেন।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, “বিশ্বাস করা কঠিন যে তিনি (নাসরাল্লাহ) জীবিত অবস্থায় সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। নাসরুল্লাহ হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।
শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই হামলার অনুমোদন দেন। তবে ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে হিজবুল্লাহ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, নাসরাল্লাহ এবং উচ্চপদস্থ কমান্ডাররা সবাই নিরাপদ আছেন। হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
ভূগর্ভস্থ স্থাপনা তথা বাংকার ধ্বংসকারী (বাংকার বাস্টার) পাঁচ হাজার পাউন্ডের বোমা ফেলেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এসব বোমা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে ইসরায়েলকে।
হাসান নাসরাল্লাহ প্রাণে বাঁচলেও প্রাণ হারিয়েছেন তার মেয়ে জয়নব।