দীর্ঘদিন রোগে ভুগে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং দিনাজপুর-৫ আসনে টানা ৮ বার বিজয়ী হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
ফিজার ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাত ৮টার দিকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক।
এছাড়া ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-এ-খোদা দ্বীপও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে আমাদের ল্যাবএইড ক্যানসার হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনি আজ রাত ৮টার দিকে মারা গেছেন।’
সোমবার তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়ীতে দাফন করা হবে।
এদিকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের টানা চারবার বিজয়ী হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য এবং মত ও পথ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি মোস্তাফিজুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ছিলেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানি শত্রুসেনার বিপক্ষে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একজন রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে তাঁর সঙ্গে আমার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। দিনাজপুর-৫ আসনের জনগণ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে টানা ৮ বার সংসদে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর মহাপ্রয়াণে দিনাজপুরবাসীর মতো আমিও খুবই মর্মাহত।
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৮৬ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮, ১৪, ১৮ ও ২৪ সাল মিলে ৮ম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে প্রথমে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সাল নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনসহ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সদস্য ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।