ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মতাদর্শী বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে উগ্রপন্থী মাদ্রাসাছাত্রদের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে জেলা শহরের টি এ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন, ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে আজ বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়। রাতেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি।
তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিষয়টি নতুন জেলা প্রশাসককে জানাতে চেয়েছিলাম। বেলা আড়াইটার দিকে ফকিরাপুল (ঘোড়াপট্টি সেতু) থেকে কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোডের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা বরাবর পৌঁছালে মাদ্রাসাছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা আমাকে গাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করেছিল। কোনো রকমভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে আমি চলে আসতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সদর থানা-পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশকে বলেছি, রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ফুটেজ দেখতে। প্রকাশ্যে দিবালোকে কারা হামলা করেছে বিষয়টি স্পষ্ট। আমি দ্রুতই অভিযোগ করব। মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশ প্রতিবাদ করে আসছে। প্রতিবাদ করা সবার দায়িত্ব। যারা আক্রমণ করেছে, তারাও অংশ নিতে পারত। কিন্তু পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে তারা হামলা করবে বলে ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গাড়িতে ঢিল নিক্ষেপ করে গাড়ির সামনের ও এক পাশের কাচ ভেঙে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। কিন্তু কে বা করা করেছে, সেটা তিনি স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁকে বলেছি অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আজ বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি আয়োজনের ডাক দিয়েছিল আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। সংগঠনটির নেতৃত্ব পর্যায়ে রয়েছেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। এই কর্মসূচিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে একই স্থানে দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে সম্মিলিত কওমী প্রজন্ম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে মানববন্ধন কর্মসূচি বাতিল করার পরামর্শ দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ প্রশাসন।