‘যৌথ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার মন্ডল গ্রুপে বকেয়া মজুরি দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিডব্লিউটিইউসি)। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (জিডব্লিউটিইউসি) দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমান আকাশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে জিডব্লিউটিইউসির সহ–সভাপতি শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, ‘হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশের শ্রমিক-মেহনতি মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, রক্ত দিয়েছে একটি নিপীড়ন ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য।’

জলি তালুকদার আরও বলেন, ‘বকেয়া মজুরি দাবি করে যৌথ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে।’

অবিলম্বে আশুলিয়ার শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা, নিহতের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন করতে হবে।’

জলি তালুকদার বলেন, ‘আশুলিয়াসহ সকল শিল্প এলাকায় দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন করতে হবে। একইসঙ্গে যেসকল মালিক মজুরি বকেয়া রাখাসহ, নানান জুলুম পরিচালনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দিচ্ছে তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সমাবেশ থেকে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সংকটের বিষয়ে আলোচনা চললেও, মালিক পক্ষকে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধে বাধ্য করতে পারেনি সরকার। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসন আমলে ১৬ বার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রাপ্ত ও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্যের কারখানার শ্রমিকদের এই দুর্ভোগ নিরসনে মালিকপক্ষকে আইনের আওতায় আনার পরিবর্তে শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

শেয়ার করুন