লেবাননে এবার সীমিত আকারে স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। হামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো অভিযান শুরু করেই হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের ৯৮তম এলিট ডিভিশনের সৈন্যরা লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে। এই ডিভিশনটি দুই সপ্তাহ আগেও গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়ছিল।
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে বিমানবাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনীর সহযোগিতায় ‘সীমিত, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর’ বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।
এই গ্রামগুলো ও সেখানে অবস্থানরত হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের ‘উত্তর ইসরায়েলের ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের প্রতি তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে’ বিবেচনা করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
লেবাননের দুইটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানান, ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের সীমান্ত পেরিয়ে এসে রাতভর নজরদারি কার্যক্রম চালিয়েছেন। এরপর আজ থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। এ সময় লেবাননের নিজস্ব সেনারা সীমান্তবর্তী অবস্থান থেকে পিছু হটে যায়।
এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর রকেট ও কামানের গোলাবর্ষণ করেছে। তবে লেবাননে ঢুকে পড়া ইসরায়েলি সেনার বিষয়ে কিছু বলেনি সংগঠনটি।
লেবাননের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের পিছু হটা নিয়মিত মহড়ার অংশ। দক্ষিণ লেবাননের কিছু অবস্থান তারা ‘অদল-বদল’ করার দাবি জানায়।
লেবাননের নিয়মিত সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সঙ্গে বড় আকারে সংঘাত এড়িয়ে চলে। গত ১১ মাস ধরে চলমান হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে একবারও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুলি চালায়নি লেবানিজ সেনাবাহিনী।
লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর আইতা আল-শাআবের বাসিন্দারা কামানের গোলাবর্ষণ, হেলিকপ্টার ও ড্রোন হামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। অপর সীমান্তবর্তী শহর রমেইশ থেকে আকাশ হামলার সতর্কতাসূচক ফ্লেয়ার ছুড়ে মারা হচ্ছিল, যা রাতের আকাশকে আলোকিত করে তোলে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বের বেকআ উপত্যকা ও বৈরুতে অন্তত ৯৫ জন নিহত ও ১৭২ জন আহত হয়েছেন। আজ ভোরে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়।