চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থ ব্যয় হয়েছে সাত হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। যা মোট এডিপি বরাদ্দের ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ অর্থবছরে সরকারের মোট এডিপি বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।
বুধবার (২ অক্টোবর) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এডিপি বাস্তবায়নের এই হার এ যাবতকালের সর্বনিম্ন বলে জানানো হয়েছে।
আইএমইডির ওয়েবসাইটে ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যায়। যেখানে কোনো অর্থবছরেই এডিপি বাস্তবায়নের হার ৩ শতাংশের কম ছিল না। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যা এর আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বাস্তবায়ন হার ছিল ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিদেশি অর্থায়নের কিছু প্রকল্পের বিদেশিকর্মী, ঠিকাদার প্রতিনিধি ও পরামর্শকরা প্রকল্প সাইট ছেড়ে চলে যান। এতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয় বলে জানায় আইএমইডি।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা, যা সরকারি তহবিলের বরাদ্দের ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগে কোনো অর্থবছরে জুলাই-আগস্ট মাসে এত কম অর্থ ব্যয় হয়নি। গত অর্থবছরের একই সময়ে টাকার অংকে ব্যয় হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, যা ওই অর্থবছরের এডিপিতে সরকারি তহবিলের বরাদ্দের ১ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে বৈদেশিক সহায়তা খাতের বরাদ্দ থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ব্যয় হয়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৩ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বৈদেশিক তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছিল ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া অনেক বড় মন্ত্রণালয় ও বিভাগও প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে পারেনি। এরমধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এডিপি ০.০১ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ০.২৩ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ০.৩৫ শতাংশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ০.০১ শতাংশ, সেতু বিভাগ ০.২৩ শতাংশ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ০.০১ শতাংশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ০.৯৬ শতাংশ এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ০.৫৭ শতাংশ।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাদ্দের ২.৪৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩.১৬ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ১.০৫ শতাংশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১.৯৩ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ০.৬৫ শতাংশ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় অর্থ ব্যয় করেছে ০.৫০ শতাংশ।