ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে উদ্দেশ্য করে বার্তা প্রেরণ করেছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে টানা চারবার বিজয়ী হওয়া সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বার্তায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ভালবাসার কাঙ্গাল হয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছে পোষণ করেন। “ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি আমার একটি আবেদন” শিরোনামে বার্তাটি প্রেরণ করেন তিনি।
বার্তায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, “আমার প্রিয় বোনেরা ও ভাইয়েরা, আস্সালামু আলাইকুম এবং শুভেচ্ছা আপনাদের সকলকে। দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবগত আছেন। আমি, আপনাদের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলাম এবং ০৪ (চার) বার জাতীয় সংসদে আপনাদের প্রতিনিধি ছিলাম। এক্ষণে আমার ও আমার রাজনৈতিক সহকর্মী, পরিবারের সদস্য- যাদের সাথে রাজনীতির কোনোই সম্পর্ক নেই, ব্যক্তিগত বন্ধুদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো খুনের মামলা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলা হয়েছে। এই গুলি সম্পর্কে আমার বক্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছিঃ
১. আমার সহধর্মীনী একজন সুখ্যাত শিক্ষাবিদ। সারা জীবন দেশের শিক্ষার অগ্রগতিতে কাজ করে গেছেন। অবসর জীবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ মনোযোগী হন এবং কখনও রাজনীতিতে অংশ নেননি। এমনই দুর্ভাগ্য আমাদের যে, ভুয়া, মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। এর পেছনে যারা আছেন আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন। অনুমান, এর পেছনে রয়েছে হেফাজতী ও বিএনপিপন্থীগণ।
২. আমার বিরুদ্ধে অন্য যেসব মামলা দায়ের করেছে তার সবগুলিই আমার নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং সবগুলিই হয়রানিমূলক। এতে সাময়িকভাবে বিএনপি-হেফাজত চক্র আমাকে হয়রানি করতে পারবে মাত্র। কিন্তু আমি কোনো অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত না হওয়ায়, ইনশাআল্লাহ প্রত্যকটি মামলা থেকেই অব্যাহতি পাব।
৩. আপনারা অবগত আছেন যে, যতটুক সম্ভব আমি আমার সবটুকু ভালবাসা দিয়ে প্রিয় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ভালোটাই করার চেষ্টা করেছি। জ্ঞানতঃ কারও কোনো ক্ষতি করিনি এবং কাউকে ঠকাইনি। এমন কি বিএনপি বা হেফাজতি কারো কোনো ক্ষতি আমি করিনি। হেফাজতিদের দুজন নেতা তো হেফাজতি তাণ্ডবের প্রথম থেকেই বিদায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের আশ্রয় পুষ্ট ছিলেন। অন্য একজন মন্ত্রীর সহযোগিতার কারণে তারা মামলা মোকাদ্দমায় প্রভাব খাটিয়ে গেছেন। জেলার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সব সময়ই তাদেরকে সহযোগিতা করে গেছেন। এমনকি মামলা দায়ের করতে গিয়ে আমাকে মামলা করতে দেয়া হয়নি। এসব কথা আপনারা সকলেই অবগত আছেন।
৪. মিথ্যা কথা বলা কবীরা গুনাহ। আমার নামে যে সব মামলা হয়েছে প্রত্যেকটিই মিথ্যা ও বানোয়াট। অথচ বাদীদের পেছনে থেকে এই সব মিথ্যা নিয়ে যারা কাজ করছেন, জনশ্রুতি আছে যে, তাদের অনেকেই বড় আলেম। মুসলমান মাত্রই জানেন যে, কবীরা গুনাহ যারা করে তারা ফাসেক।
৫. আমার কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে, সড়ক যোগাযোগ তৈরীর ক্ষেতে, ব্রীজ-কালভার্ট তৈরীর ক্ষেত্রে এবং জনকল্যাণের অন্যান্য সকল অবকাঠামো ও জনকল্যাণমূলক ক্ষেত্রে, আপনাদের অজানা নয়।
৬. আমি আমার কর্মজীবনে আপনাদের সমর্থন ও অকুণ্ঠ ভালবাসা পেয়েছি। যতদিন বাঁচব, আপনাদের ভালবাসার কাঙ্গাল হয়ে বাঁচতে চাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাদের মঙ্গল করুন।
জয়বাংলা। জয় বাংলা। জয় হোক ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর।”