চাঁদাবাজির একটি মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে টানা সাতবার বিজয়ী হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাঁকুরগাঁওয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশেষ আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সকালে আদালতে তোলা হলে জামিন আবেদন করেন দবিরুলের আইনজীবী। অন্যদিকে বাদী পক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দবিরুলকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
এর আগে বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এই এমপিকে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে জানান, ‘বালিয়াডাঙ্গী থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় দবিরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাটিতে তিনি প্রধান আসামি।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু বাদী হয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দবিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বুধবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দবিরুল ইসলামের ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনকে।
দবিরুল ইসলাম বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ দলের প্রার্থী হিসেবে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হিসেবে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।