ভারত মহাসাগরে অবস্থিত চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে সার্বভৌমত্ব দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে সার্বভৌমত্ব দিতে দ্বীপপুঞ্জটির দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি রাখার শর্ত দিয়ে চুক্তি করা হয়ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক চুক্তির মাধ্যমে মরিশাসের কাছে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব দেয় দেশটি। খবর রয়টার্সের।
এই চুক্তির ফলে কয়েক দশক আগে এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষ এবার ফিরতে পারবেন সেখানে। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকায় যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ উপনিবেশের পতন হলো।
এর আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজে এক রায়ে জানান, মরিশাসকে স্বাধীনতা দেওয়ার আগে চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে বেআইনিভাবে আলাদা করে দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। ১৯৬০ ও ১৯৭০ এর দশকে চাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে মানুষদের সরে যেতে বলে যুক্তরাজ্য। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন।
১৯৬৮ সালে স্বাধীনতা পায় মরিশাস। কিন্তু এই চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে সার্বভৌমত্ব দেওয়া হয়নি।
এ নিয়ে ২০২২ সাল থেকে আলোচনা চলে আসছে। ১২ রাউন্ড বৈঠকের পর অবশেষে এই দ্বীপপুঞ্জকে সার্বভৌমত্ব দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে অবশ্য ২০১৯ ও ২০২১ সালে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্বে সমর্থন দিয়েছিল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দ্য সী (ইটলস)।
আদালত ও জাতিসংঘের এই সমর্থনকে মেনে নিচ্ছিল না যুক্তরাজ্য। অবশেষে তারা সার্বভৌমত্ব দিতে রাজি হলো। তবে এবার বেশকিছু শর্ত দিয়েছে তারা। এতে বলা হয়, দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি থাকবে। এই শর্তে দ্বীপপুঞ্জ থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২ হাজার মানুষ ফিরতে পারবেন।
এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘দিয়েগো গার্সিয়া হলো মার্কিন-ব্রিটিশ যৌথ সামরিক ঘাঁটির একটি সাইট। এটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’