ভারতের ছত্তীসগড়ে জঙ্গলের মধ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে ৩৬ মাওবাদী নিহত হযেছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে একে ৪৭-সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছত্তীসগড়ের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে জঙ্গলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার বিকালে ৩৬ জন মাওবাদী নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে কতৃপক্ষ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ওই অঞ্চলে মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল। গোভেল, নেন্দুর, থুলথুলি গ্রামে অভিযান চালায় তারা। অভিযান চালানোর সময় মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করলে জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও।
সাম্প্রতিককালে মাওবাদী দমন অভিযানে সবচেয়ে বড় সাফল্য উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন গভীর জঙ্গলে চলে গেছে। তাদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে এই সাফল্যে নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই।
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘জওয়ানদের এই সাফল্য প্রশংসনীয়। তাদের অদম্য সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাই। ছত্তীসগঢ় থেকে নকশালবাদ শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য। নকশালবাদ শেষ করেই আমাদের লড়াই থামবে।’
এর আগে গত ২৪ আগস্ট ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বড় চ্যালেঞ্জ মাওবাদীরা। ২০২৬ সালের মার্চের পর দেশে মাওবাদী থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, গত চার দশকে মাওবাদীদের হামলায় ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।