র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বলেছেন, র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি। র্যাবে ৮টি বাহিনী থেকে সদস্য আসে। র্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে।
র্যাবে কোনো সমস্যা ছিলো না। ছাত্র জনতার ওপর র্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি। আমরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলণে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ আগস্টে পর থেকে এখন পর্যন্ত র্যাব ১ হাজার ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৩৯ জন উচ্চপর্যায়ের। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছি। র্যাবের কাছে কেউ যদি কোনো তথ্য দেয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র্যাব সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডিবির হারুনুর রশিদ হারুনের মতো বিতর্কিতদের গ্রেফতারের বিষয় জানত চাইলে মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের বিষয় আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেফতার করা হবে।