ঢালিউড-টলিউড ছাড়িয়ে প্রথমবার বলিউডের কোনো নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বাংলাদেশি সুপারস্টার শাকিব খান। সিনেমার নাম ‘দরদ’। পরিচালক অনন্য মামুন। এখানে শাকিবের বিপরীতে নায়িকা বলিউডের সোনাল চৌহান।
রোববার চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে ‘দরদ’। অর্থাৎ, সিনেমাটির মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। নির্মাতা কর্তৃপক্ষ চাইলে যেকোনো সময় দেশ এবং দেশের বাইরে সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারে।
যেকোনো সিনেমা মুক্তির আগে অর্থাৎ নির্মাণের পরই সেটিকে সেন্সর বোর্ডে (বর্তমানে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড) জমা দিতে হয়। সেখানে দায়িত্বরত সদস্যরা সিনেমাটি দেখেন। কোনো সংলাপ বা দৃশ্যে সমস্যা থাকলে ঠিক করতে বলেন। সমস্যা না থাকলে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র দেন।
শাকিব খানের ‘দরদ’ দেখে কী বলছেন সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা? পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য কাজী হায়াৎ বলেন, ‘দরদ’ পাস। সেন্সর থেকে নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড হওয়ায় এখনো গ্রেডিং সিস্টেম চালু হয়নি। আইন উপদেষ্টা বলেছেন, নতুন বিধি তৈরি করতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করে সিনেমার ম্যারিট অনুযায়ী পরে গ্রেড দেওয়া হবে।’
কাজী হায়াৎ আরও বলেন, ‘গ্রেট সিস্টেম চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত আনকাট বলা যেতে পারে। ‘দরদ’ প্রেমের সিনেমা। আমার কাছে ভালো লেগেছে। দায়িত্বশীল পদে থেকে এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।’
সার্টিফিকেশন বোর্ডের আরেক সদস্য খিজির হায়াত খান বলেন, ‘দু-একজন বোর্ড মেম্বারের টেকনিক্যাল অবজারভেশন ছিল। ঠিক করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সমস্যা নেই। ‘দরদ’ আমরা ছেড়ে দিয়েছি। এটি বাণিজ্যিক সিনেমা। শাকিব খান খুব ভালো অভিনয় করেছেন। পরিচালক ও তার টিম কষ্ট করে সিনেমাটি বানিয়েছেন।’
সাইকো-থ্রিলার ধাঁচের সিনেমা ‘দরদ’ নির্মাণ হয়েছে যৌথ প্রযোজনায়। নভেম্বর বা ডিসেম্বরে এটি প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা হিসেবে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়াসহ বিশ্বব্যাপী মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানান নির্মাতা অনন্য মামুন। তার কথায়, ‘সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে প্রশংসা পেয়েছি। এ সপ্তাহে মুক্তির তারিখ জানাবো।’
বড় বাজেটের এই সিনেমায় শাকিব-সোনাল ছাড়াও আছেন পশ্চিম বাংলার পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, অলোক জৈন ও বলিউডের রাহুল দেব। বাংলাদেশ থেকে আছেন এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, সাফা মারিয়াসহ অনেকে।